আমরা টিচারদের ভয় পাই না ; ভয় পাই টিচারদের মাইর কে
কোয়ান্টাম মেকানিক্স -২
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। কোয়ান্টাম মেকানিক্স -২ এ একটু দেরি হয়ে গেল।আসলে আমিতো বিজ্ঞানী না তাই অনেক বই পুস্তক ঘাটাঘাটি করে সঠিক তথ্য বের করতে একটু দেরি হয়ে গেল। এজন্য সকলের ক্ষমাসুলভ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ধন্যবাদ...।।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নাম এসেছে জর্মান পদার্থবিদ ম্যাক্স প্লাঙ্কেরব্যবহৃত ‘কোয়ান্টা’ শব্দটি থেকে। তিনি পদার্থ ও শক্তির ভৌত পরমাপকে বিচ্ছিন্ন কোয়ান্টা রূপে দেখার প্রস্তাব করেন। আলোর কোয়ান্টা সদৃশ বিমূর্ততা (abstraction) দিয়েই আইনষ্টাইন আলোর ফটো-ইলেক্ট্রিক এফেক্টের ব্যাখ্যা দেন। অর্থাৎ, আইনষ্টাইনই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একজন প্রথম ব্যবহারকারী। কিন্তু এই কোয়ান্টাম মেকানিক্সেই যখন সম্ভবনার(probability) নিবিড় সংশ্লিষ্টতা আসলো, তখন থেকে তিনি একে মন থেকে মেনেনিতে পারেননি। তিনি বলেছিলেন, “ঈশ্বরমহাবিশ্ব নিয়ে জুয়া খেলেন না।”
পদার্থবিদ্যার চিরায়ত (classical) ধ্যান-ধারণাতে ধাক্কা লাগে বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে, যখন কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর আবির্ভাব ঘটে। চিরায়ত পদার্থবিদ্যার মূল ভিত্তি ছিলো নিশ্চয়তাবাদ (determinism)। নিশ্চয়তাবাদ বলছে, যদি কোনো পদার্থেরঅবস্থান ও গতি সহ সম্পূর্ণ অতীত ইতিহাস আমরা জানি, তবে পদার্থটির ভবিষ্যত গতি ও অবস্থান আমরা নিশ্চিতভাবে predict করতে পারবো। কোয়ান্টাম মেকানিক্স এই সহজাত ধারণার মূলে কুঠারাঘাত করে বলছে, নিশ্চিতভাবে কোনো কণার (সাধারণ অর্থে পদার্থও বটে) সার্বিক তথ্য (যেমন, অবস্থান ও গতি) আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। আমরা সর্বোচ্চ জানতে পারি, কণাটির কোনো স্থানে থাকার সম্ভবনা (probability) কতটুকু।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জগৎটা আমাদেরপ্রাত্যহিক অভিজ্ঞতার বিপরীত বলে একে সার্বিকভাবে বুঝতে গেলে বেশ বেগ পেতে হয়। ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স এর মতোই পর্যবেক্ষিত ঘটনার সঠিক ও সুচারু ব্যাখ্যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সওদিতে সক্ষম (যদিও এর প্রয়োগক্ষেত্র মূলত ন্যানোস্কোপিক স্কেলের কোয়ান্টাম জগত); তাই আধুনিক মেকানিক্সর এটিও একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ক্লাসিক্যাল ও কোয়ান্টাম জগতের মূল পার্থক্যটা আসছে পর্যবেক্ষিত বস্তগুলোর আকার ও আনুষঙ্গিক কাঠামো (framework) থেকে। বৃহদাকায় কাঠামোতে (macroscopic framework) আইনষ্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ (general relativity) নির্ভুলভাবে কাজ করে। এই সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদই নিউটনের মহাকর্ষের সূত্রের পরিশীলিত রূপ, যা মহাবিশ্বেরযে কোনো বস্তু/ পদার্থের মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ বলের (gravitational force) পরিমাণ বলে দিতে পারে। আগের পর্বে বলা গ্যালাক্টিক ঘূর্ণন গতি কিংবা মহাকর্ষীয় আলোক প্রতিসরণ (gravitational lensing) ইত্যাদি ঘটনা সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ দিয়েই পরিমাপ করা হয়। মোদ্দাকথা, নিউটনীয় মহাকর্ষ বলের তাৎক্ষণিক প্রয়োগ (instanteneous assertion) নীতি পরিশীলিত হয়েছে আইনষ্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে, যেখানে পদার্থের ভর (mass) স্থান-কালকে বক্র করে দেয়। স্থান-কালের এই বক্রতাই গ্রাভিটি বা মহাকর্ষ বল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এই অত্যন্ত নির্ভুলভাবে কাজ করা আইনষ্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ, কোয়ান্টাম স্কেলে (ন্যানোমিটার বা তারচেয়ে কম দৈর্ঘের ক্ষেত্রে) গিয়ে ভেঙ্গে পড়ে। কোয়ান্টাম স্কেলে তখন মহাকর্ষকে ব্যাখ্যা করার জন্যে দরকার পড়ে কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি জাতীয় নতুন কোনো তত্ত্ব।
ধন্যবাদ......।।ZB ZISAN ১৭/০৭/২০১২